প্লাস্টিক ক্রোকারিজ থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এ দাবি জানালেন সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় আমদানীকৃত পণ্যে পূর্বের ন্যায় সম্পূরক শূল্ক বহাল সরকারের বাস্তবানুগ সিদ্ধান্ত। শ্রমঘণ স্বল্প পুঁজির ছোট খাট কারখানায় তৈরী তবে নিম্ন আয়ের মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহার্য (৩৯ দশমিক ২৪ ভুক্ত সংশ্লিষ্ট এইচ এস কোড) প্লাস্টিক ক্রোকারিজ আইটেম এবং প্লাস্টিক রি-সাইক্লিং শিল্পে ভ্যাট অব্যাহতির অনুরোধ করছি।
টিভি, ফ্রিজ এবং রেফ্রিজারেটরসহ বিপুল সংখ্যক আইটেম মূসকের আওতামুক্ত রাখায় কৃতজ্ঞতা জানান মো. জসিম উদ্দিন।
ভোক্তা ও ব্যবসাবান্ধব মূসক ব্যবস্থায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে ফের বিবেচনার প্রস্তাব জানান সংগঠনটির সভাপতি।
যার মধ্যে রয়েছে- টার্নওভারের ঊর্ধ্বসীমা ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা থেকে ৫ কোটি নির্ধারণ করে করের হার প্রস্তাবিত ৪ শতাংশ হতে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা, উপকরণ রেয়াত গ্রহণ করা না গেলে সে সব খাতে ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ মূল্য সংযোজন হিসাব করে ১৫ শতাংশ হিসেবে ৪ শতাংশ ভ্যাট ধার্য করা এবং আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আবগারী শুল্ক প্রত্যাহার।
বর্তমান সরকারের স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় ২০১৭-১৮ সালের বাজেট বাস্তবায়নে সরকারকে অধিকতর দক্ষতা জবাবদিহিতা ও সুলভ অর্থায়ন নিশ্চিত করার আহবান জানান মো. জসিম উদ্দিন।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আসছে সোমবার সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করেছে সংগঠনটি।
যাতে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া ও পরামর্শ জানাবেন সংগঠন সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এসময় সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
গেলো বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করেন। তিনি নতুন অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
এবার বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৪লাখ ২শ ৬৬ কোটি টাকা। যা গেলো বারের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। অনুন্নয়নসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। ঘাটতি দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
এমসি/এসজে